- +880 1722 729384
- info@rsacademybd.com
- Ansar Academy, Safipur, Gazipur 1751
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, পুরাতন বিমানবন্দর ঢাকা, এলেনবাড়ি, তেজগাঁও ঢাকা।
BRTA অফিসিয়াল লিংক: http://www.brta.gov.bd/
BTRA অনলাইন আবেদন লিংক: https://bsp.brta.gov.bd/
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া – জানতে ক্লিক করুন।
কিভাবে মোটরযান নিবন্ধন করতে হয় তা জানতে ক্লিক করুন।
কিভাবে মোটরযান মালিকানা পরিবর্তন করতে হয়, জানতে ক্লিক করুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন জানতে ক্লিক করুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নতুন আবেদন করতে ক্লিক করুন।
লাইসেন্স ফি, ট্যাক্স ও আয়কর জানতে ক্লিক করুন।
Table of Contents
১. মোটর যান কাকে বলে?
উত্তরঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোন যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরে বা ভিতরের কোন উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।
০২. গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজ পত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয়?
উত্তরঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স খ. রেজিস্ট্রেশেন সার্টিফেকেট গ. ট্যাক্সটোকেন ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট ঙ. ফিটনেস সার্টিফিকেট এবং চ. রুটপারিমট
০৩. গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী?
ক. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না তা পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
খ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া
গ. ব্যাটারির কানেকশন পরীক্ষা করা।
ঘ. লুব/ ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা , কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া
ঙ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্রুইড, ব্রেক অয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া
চ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।
ছ. ব্রেক ও কাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
জ. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ফাস্ট এইড বক্স গাড়িতে রাখা।
ঝ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা , চাকা ( টায়ার কন্ডিশন/ হাওয়া /নাট / এলাইমেন্ট/ রোটেশন/ স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।
০৪. সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায় এবং গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয়?
উত্তরঃ মোটর যানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর যে কাজ গুলো করা হয় তাকে সার্ভিসিং বলে। গাড়ি সার্ভিসিংয়ে করণীয় কাজ-
ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুবঅয়েল( মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুব অয়েল আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা।
খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।
গ. ভারী মোটর যানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।
ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।
ঙ. লুবঅয়েল ( মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।
০৫. রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/ কোন কোন ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বাধ্য?
উত্তরঃ সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটি এর কর্মকর্তা এবং মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।
০৬. মোটর সাইকেলে হেলেমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী ?
উত্তরঃ মোটর সাইকেল চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়ইকে হেলমেট পরিধান করতে হবে।
০৭. সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তরঃ ক. অত্যাধিক আত্মবিশ্বাস, খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং এবং ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।
০৮. গাড়ী দুর্ঘটানায় পতিত হলে চালকের করণীয় কী?
উত্তরঃ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় নিকটস্থল হাসপাতালে স্থানান্তর করা ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।
০৯. আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?
উত্তরঃ হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে উভয়ক্ষেত্রে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।
১০. মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?
উত্তরঃ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।
১১. অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ?
উত্তরঃ যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান, এবং অন্যান্য মোটরযান চালাতে পারে তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে ।
১২. ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত ?
উত্তরঃ পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।
১৩.কোন কো ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?
উত্তরঃ মৃগরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপায়ী বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি
১৪. হালকা মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬০০০ পাউন্ড বা ২, ৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।
১৫. মাধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযান রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬০০০ পাউন্ড বা ২, ৭২৭ কেজির অধিক কিন্ত ১৪, ৫০০ পাউন্ড বা ৬৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।
১৬. ভারী মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযান রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয় তাকে ভারী মোটরযান বলে।
১৭. প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয় তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।
১৮. ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন( চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার। ক. বাধ্যতামূলক যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়, খ. সতর্কতামূলক যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং গ. তথ্যমূলক যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।
১৯. লাল বৃত্তকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদার্শন করে?
উত্তরঃ নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদান করে।
২০. নীল বৃত্ত সাইন কী নির্দেশনা প্রদার্শন করে?
উত্তরঃ করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২১. লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তরঃ সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।
২২. নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ সাধারণ তথ্যমুলক সাইন।
২৩. সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ পথনিদের্শক তথ্যমূলক সাইন, যা জতীয় মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।
২৪. কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।
২৫.ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ ৩ প্রকার। যেমন- ক. বাহুর সংকেত খ. আলোর সংকেত গ. শব্দ সংকেত
২৬.ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রম গুলি কি কি?
উত্তরঃ লাল- সবুজ- হলুদ এবং পুনরায় লাল।
২৭. লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তরঃ লাল বাতি জ্বললে গাড়িকে থামুনলাইন এর পেছনে থামায়ে অপেক্ষা করতে হবে, সবুজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদ বাতি জ্বললে গাড়িকে থামানের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
২৮. নিরাপাদ দূরত্ব বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সামনের গাড়ি সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায়ে রেখে গাড়ি চালাতে হয় সেই পরিমাণ দূরত্বকে নিরাপদ দূরত্ব বলে।
২৯. পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তরঃ ২৫ মিটার
৩০. পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তরঃ ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।
৩১. লাল বৃত্তে ঘন্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কি বুঝায়?
উত্তরঃ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কি.মি অর্থাৎ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩২. নীল বৃত্তে ঘন্টায় ৫০ কি.মি লেখা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কি.মি অর্থাৎ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩৩. লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ হর্ণ বাজানো নিষেধ
৩৪. লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।
৩৫. লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আাঁকা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ পথচারী পারাপার নিষেধ।
৩৬. লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।
৩৭. লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ ওভারটেকিং নিষেধ।
৩৮. আয়তক্ষেত্র P লেখা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তরঃ পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।
৩৯.কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ণ বাজানো নিষেধ?
উত্তরঃ নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ণ বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , অফিস আদালত বা অনুরুপ প্রতিষ্ঠান সমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নিরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।
৪০. কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ?
উত্তরঃ ওভারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/ কার্লভার্ট ও তার আগে ও পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব ঘ. সরু রাস্তায় ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়।
৪১.কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ?
উত্তরঃ যেখানে পার্কিং নিষেধ , বোর্ড আছে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/ কার্লভার্ট ও তার আগে ও পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব ঘ. সরু রাস্তায় ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় চ. পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ফুটপাত , পথচারী পারাপর এবং তার আশেপাশে ছ. বাস স্টোপেজ ও তার আশেপাশে এবং জ. রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে
৪২. গাড়ি রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে?
উত্তরঃ গাড়ির রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি, তার ডান পাশের লেনে দ্রুত গতির গাড়ি চলাচল করবে।
৪৩.কখন বাম দিক দিয়ে ওভারটেক করা যায়?
উত্তরঃ যখন সামনের গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছা যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়ি চালক বাম দিকে দিয়ে ওভারটেক করবেন।
৪৪. চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত?
উত্তরঃ (ক) সামনের গাড়ির গতি (খ) সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কি না, (গ) সামনের গাড়ি ডানে/ বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না, (ঘ) সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দূরত্ব বাজায় থাকছে কিনা।
৪৫. রাস্তারপাশে সতর্কতামূলক স্কুল/ শিশু সাইনবোর্ড থাকলে চালকের করণী কী?
উত্তরঃ কে) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দুপাশে ভালোভাবে দেখে শুনে সতকর্তার সাথে অগ্রসর হতে হব্
(খ) রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোনো শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪৬. গাড়ির গতি কমানো জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন?
উত্তরঃ চালক তার ডানহাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে নিচে উঠানামা করাতে থাকবেন।
৪৭. লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং ২ প্রকার। ক. রক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারদার নিয়ন্ত্রিত রেলক্রসিং খ. অরক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদারবিহীন রেলক্রসিং।
৪৮. রক্ষিত লেভেক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?
উত্তরঃ গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে, আর খোলা থাকলে ডানেবামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।
৪৯. অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?
উত্তরঃ গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে, প্রয়োজনে লেভেক্রসিংয়ের নিকট থামাতে হবে। এরপর ডানেবামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।
৫০. বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কেন?
উত্তরঃ বিমানের প্রচন্ড শব্দে গাড়ির চালক হঠাৎ বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার ব্যঘাত ঘটতে পারে, বিমানবন্দরে ভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৫১. মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন?
উত্তরঃমানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এখানে সামান্য আঘাত লাগলেই মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনায় মানুষের মাথাকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।
৫২. গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষণ পর পর লুকিং গ্লাস দেখতে হবে?
উত্তরঃ প্রতিমিনিটে ৬ থেকে ৮ বার।
৫৩. পাহাড়ি রাস্তায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তরঃ সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফাস্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চূড়ার কাছে গিয়ে আরো ধীরে ধীরে উঠতে হবে, কারণ চূড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় গাড়ির গতি ক্রমে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের গাড়ি থেকে বাড়তি দূরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। ওঠা- নামার সময় কোনো ক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।
৫৪. বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালানার বিষয়ের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তরঃ বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামানো যায। অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি সহজেই থামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেইরুপ ধীর গতিতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে।
৫৫. ব্রিজে ওঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কী?
উত্তরঃ ব্রিজ বিশেষকরে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ওঠার পূর্বে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া, রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কমা হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।
৫৬. পার্শ্বরাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কী কী সতকর্তা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তরঃ পাশ্বরাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমায়ে, প্রয়োজনে থামায়ে, প্রধান রাস্তার গাড়িকে নির্বিঘ্নে আগে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থার করতে হবে। প্রধান সড়কে গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সুযোগমত সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করে।
৫৭. রাস্তার ওপর প্রধানত কী কী ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে?
উত্তরঃ রাস্তার ওপর প্রধানত ০৩ ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে।
ক. ভাঙ্গালাইন, যা অতিক্রম করা যায়।
খ. একক অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, তবে প্রয়োজন বিশেষ অতিক্রম করা যায়।
গ. দ্বৈত অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, এবং আইন দন্ডনীয়।এই ধরনের লাইন দিযে ট্রাফিক আইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।
৫৮. জেব্রাক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?
উত্তরঃ জেব্রাক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই আগে থামাতে হবে। জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর গাড়িকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।
৫৯. কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার মতো সুযোগ দিতে হবে?
উত্তরঃ যে গাড়িতে গতি বেশী, এ্যম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ভিভিআইপি গাড়ি ইত্যাদিকে।
৬০. হেড লাইট ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কী?
উত্তরঃ শহেরের মধ্যে সাধারণত লো-বিম বা ডিপার বা মৃদুবিম ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশিদূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তার হাই বা আপার বা তীক্ষ্ম বিম ব্যবহার করা হয়। তবে বিপরীত দিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে হাইবিম নিভিয়ে লো বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীত দিকে থেকে আগত কোনো গাড়িকে পাস/ পার হওয়ার সময় লো-বিম জ্বালাতে হবে।
৬১. গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কী?
উত্তরঃ গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড , ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় যানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় বা কম হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬২. গাড়ির চাকা ফেটে গেল করণীয় কী?
উত্তরঃ গাড়ির চাকা ফেটে গলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময়ে গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
৬৩. হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী?
উত্তরঃ প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পিছনে উভয়পাশে কর্ণারে একজোড়া করে মোট দুজোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপদজ্জনক মুহূর্তে গাড়ি বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।
৬৪. গাড়ির ড্যাশবোর্ড কী কী ইন্সট্রমেন্ট থাকে?
ক. স্পিডোমিটার- গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখা যায়।
খ. ওডোমিটার- তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কত কিলোমিটার বা মাইল বেগে চলছে তা দেখা যায়।
গ. ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/ মাইল চলে তা দেখা যায়।
ঘ. টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখা যায়।
ঙ. ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখা যায়।
৬৫.গাড়িতে কী কী লাইট থাকে?
উত্তরঃ ক. হেড লাইট খ. পার্কলাইট গ. ব্রেকলাইট ঘ. রিভার্সলাইট ঙ. ইন্ডিকেটরলাইট চ. ফগলাইট ছ. নম্বপ্লেট লাইট।
৬৬. পাহাড়ি ও ঢাল/ চূড়ায় রাস্তায় গাড়ি কোন গিয়ারে চালাতে হয়?
উত্তরঃ ফাস্ট গিয়ারে। কারণ ফাস্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিনের শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।
৬৭. গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি L অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এতদ্বারা কী বুঝা যায়?
উত্তরঃ এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভারচালিত গাড়ি। এই গাড়ি হতে সাবধান থাকতে হবে।
৬৮. শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাণো বৈধ কী?
উত্তরঃ ইনসট্রাক্টরের উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম সম্বলিত গাড়ি নিযে সামনে ও পিছনে L লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় চালানো বৈধ।
৬৯. ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সাধারণত ইঞ্জিন হতে গাড়ির পেছনের দু- চাকায় পাওয়ার ক্ষমতা সরবরাবহ থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে যে গাড়িটি চারটি চাকায় পাওয়ার সরবরাহ করে তাকে ফোরহুইল ড্রাইভ গাড়ি বলে।
৭০. ফোরহুইলড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয়?
উত্তরঃ ভালো রাস্তাতে চলার সময় শুধু মাত্র পেছনের দু-চাকাতে ড্রাইভ দেওয়া হয়। কিন্তু পিচ্ছিল কর্দমাক্ত রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।
৭১.টুলবক্স কী?
উত্তরঃ টুলবক্স হচ্ছে যন্ত্রপাতিরা বাক্স, যা গাড়ির সঙ্গে রাখা হয়। মোটরযান জরুরি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল টুলবক্সে রাখা হয়।
৭২. ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৪ মাস কারাদন্ড অথবা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দন্ড । এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দন্ডিত হতে পারেন।
৭৩. গাড়িতে গাড়িতে নিষিদ্ধ হর্ণ কিংবা উচ্চ শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন ও তা ব্যবহার করলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
৭৪. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফেকেট , ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুটপারমিট ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদন্ড অথবা ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দন্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদন্ড বা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমান হতে পারে। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়ই দন্ডিত হবেন।
৭৫. মদ্যপ বা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদন্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দন্ড। পরবর্তী সময়ে প্রতিবারের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ড এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল।
৭৬.নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিক বা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর শাস্তি কী?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন কারাদন্ড বা ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দন্ড। পরবর্তী একই অপরাধের করলে সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদন্ড বা ৫০০ টাক পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দন্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা ১ মাসের জন্য স্থগিত ।
৭৭. বেপরোয়া ও বিপদজনকভাবে গাড়ি চালানোর শাস্তি কী?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদন্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং যেকোনো মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা স্থগিত ।
৭৮. ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তরঃ ২০০ টাকা জরিমান।
৭৯. নির্ধারিত ওজন সীমার অধিক ওজন বহন করে গাড়ি চালালে বা চলানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ প্রথমবার ১,০০০ পর্যন্ত জরিমানা এবং পরবর্তী সময়ে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দন্ড। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দন্ডিত হতে পারেন্
৮০. ইনসিওরেন্স বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোর শাস্তি কী?
উত্তরঃ ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ।
৮১. প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে মোটরযান রেখে মেরামত করলে বা কোনো যন্ত্রাংশ বা দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য সড়কে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা। অনুরুপ মোটরযান অথবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
৮২.গাড়ি রাস্তায় চলার সময় হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে প্রথমে কী চেক করতে হবে?
উত্তরঃ ফুয়েল বা জ্বালানি আছে কি না তা চেক করতে হবে।
৮৩.পেট্রোল ইঞ্জিন স্টার্ট করতে ব্যর্থ হলে কোন দুটি প্রধান বিষয় চেক করতে হবে?
উত্তরঃ (ক) প্লাগ পয়েন্টে ঠিকভাবে স্পার্ক হচ্ছে কি না চেক করতে হবে।
(খ) কার্বুরেটরে পেট্রোল যাচ্ছে কি না চেক করতে হবে।
৮৪.ফুয়েল ও অয়েল বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ ফুয়েল বলতে জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল , অকটেন, সিএনজি , ডিজেল ইত্যাদি বুঝায় এবং অয়েল বলতে লুব্রিকেটিং অয়েল বা লুব অয়েল বা মবিল বুঝায়।
৮৫. লুব অয়েল এর কাজ কী?
উত্তরঃ ইঞ্জিনের বিভিন্ন ওয়াকিংপার্টস সমূহকে ঘুরতে বা নাড়াচাড়া করতে সাহায্য করা , ক্ষয়হতে রক্ষা করা এবং ইঞ্জিন পার্টস সমূহকে ঠান্ডা ও পরিষ্কার রাখা মবিলের কাজ।
৮৬. কম মবিল বা লুব অয়েলে ইঞ্জিন চালালে কী ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ বিয়ারিং অত্যধিক গরম হয়ে গলে যেতে পারে এবং পিস্টন সিলিন্ডার জ্যাম বা সিজড্ হতে পারে।
৮৭. লুব অয়েল কেন এবং কখন বদলানো উচিত?
উত্তরঃ দীর্ঘদিন ব্যবহারে মবিলে ইঞ্জিনের কার্বন, ক্ষয়িত ধাতু , ফুয়েল, পানি ইত্যাদি জমার কারণে এর গুনাগুণ নষ্ট হয়ে যায় বিধায় মবিল বদলাতে হয়। গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রদত্ত ম্যানুয়াল/ হ্যান্ডবুকের নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট মাইল/ কিলোমিটার চলার পর মবিল বদলাত হয়।
৮৮. ইঞ্জিনের অয়েল ( মবিল) এর পরিমাণ কিসের সাহায্যে পরীক্ষা করা উচিত?
উত্তরঃ ডিপস্টিক এর সাহায্যে
৮৯. টায়ার প্রেসার বেশি বা কম হলে কী অসুবিধা হয়?
উত্তরঃ টায়ার প্রেসার বেশি বা কম হওয়া কোনটি ভালো নয়। টায়ার প্রেসার বেশি হলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, আবার টায়ার প্রেসার কম হলে দু পাশে বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে টায়ার তারাতারি নষ্ট হয়ে যায়।
৯০. কোন নির্দিষ্ট টায়ারের প্রেসার কত হওয়া উচিত তা কীভাবে জানা যায়?
উত্তরঃ টায়ারের আকার , ধরন, ও লোড বহন করার ক্ষমতার ওপর নির্ভরকরে প্রস্তুতকারক কর্তৃক সঠিক প্রেসার নির্ধারণ করা হয়, যা প্রস্তুতকারকের হ্যান্ডবুক/ ম্যানুয়ালে উল্লেখ থাকে
৯১. টায়ার রোটেশন কী?
উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে গাড়ির সবগুলো টায়ারের ক্ষয় সমহারে হয় না। গাড়ির চাকাগুলো ক্ষয়ের সমতা রক্ষার জন্য একদিকের টায়ার খুলে অপরদিকে কিংবা সামনের টায়ার খুলে পেছনের লাগানোকে অর্থাৎ টায়ারের স্থান পরিবর্তন করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগানো পদ্ধতিকেই টায়ার রোটেশন বলে। এর ফলে টায়ারের আয়ু বহুলাংশে বেড়ে যায়। উল্লেখ্য যে, লোয়ার সাইজের স্পেয়ার চাকা কখনো সামনে লাগানো উচিত নয়।
৯২. ব্যাটারির কাজ কী?
ক. ইঞ্জিনকে চালু করতে সহায়তা করা।
খ. পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগিনশন সিস্টেম কারেন্ট সরবরাহ করে।
গ. সকল প্রকার লাইট জ্বালাতে এবং মিটার সমূহ চালাতে সহায়তা করে।
ঘ. হর্ণ বাজাতে সাহায্য করে।
৯৩. নিয়মিত ব্যাটারির কী পরীক্ষা করা উচিৎ?
উত্তরঃ পানির লেভেল।
৯৪. সময় ও প্রয়োজন মতো ব্যাটারিতে ডিস্টিল ওয়াটার না দিলে কী হয়?
উত্তরঃ ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কমে যায় এবং প্লেট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৯৫. ব্যাটারি টার্মিনাল হতে মরিচা দুর করা হয় কেন?
উত্তরঃ মরিচা সন্তোষজনক বৈদ্যুতিক সংযোগ বাধা দেয় এবং কালক্রমে টার্মিনালের ভিতর দিয়ে মরিচা পড়ে এবং সম্পূর্ণ টার্মিনাল নষ্ট হয়ে যায়।
৯৬. মরিচা পরিষ্কার করার পর টার্মিনালে কী করা উচিত?
উত্তরঃ গ্রিজ লাগানো উচিত্
৯৭. মোটর গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারির ভোল্টেজ কত থাকে?
উত্তরঃ ৬ ভোল্ট এবং ১২ ভোল্ট থাকে।
১. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?
উত্তরঃ যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে কোনো মোটরযান চালিয়ে থাকে, তাকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
২.পিএসভি লাইসেন্স কী?
উত্তরঃ পিএসভি অর্থ পাবলিক সার্ভিস ভেহিকল। ভাড়ায় চালিত যাত্রীবাহী মোটরযান চালানের জন্য প্রত্যেক চালকে তার লাইসেন্সের অতিরিক্ত হিসাবে পিএসভি লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়।
৩. পাবলিক সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযান ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে পাবলিক সার্ভিস মোটরযান বলে। ভাড়ায় চালিত বাস, মিনিবাস, হিউম্যানহলার , ট্যাক্সিক্যাব ইত্যাদি পাবলিক সার্ভিস মোটযানের অন্তভুক্ত।
৪.বাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তরঃ চালকসহ ৩১ জনের বেশি অর্থাৎ চালকসহ সর্বনিম্ন ৩২ জন।
৫. মিনিবাসের আসন সংখ্যা কত?
উত্তরঃ চালকসহ সর্বনিম্ন ১৬ জন এবং সর্বোচ্চ ৩২ জন।
৬. একজন পেশাদার চালক দৈনিক কত ঘন্টা গাড়ি চালাবে বা মোটরযানে কর্মঘন্টা কত?
উত্তরঃ এক নাগাড়ে ৫ ঘন্টার বেশি নয়। অতঃপর আধাঘন্টা বিশ্রাম বা বিরতি নিয়ে আবার ৩ ঘন্টা অর্থাৎ ১ দিনে ৮ ঘন্টার বেশি নয়।
৭. ইঞ্জিন কাকে বলে?
উত্তরঃ ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র যেখানে জ্বালানি বা ফুয়েলকে পুড়িয়ে রাসায়নিক শক্তিকে প্রথমে তাপশক্তি এবং তাপশক্তিকে পরে যান্ত্রিক শক্তিকে রুপান্তর করা হয়।
৮.ইঞ্জিনের প্রধান প্রধান কয়েকটি যন্ত্রাংশের নাম কী?
উত্তরঃ ক.সিলিন্ডারহেড খ. সিলিন্ডারব্লক গ. পিস্টন ঘ. ক্রাংকশ্যাফট ঙ. ক্যাম ও ক্যাম শ্যাফট চ. কানেকটিং রড ছ. বিয়ারিং জ. ফ্লাই হুইল ঝ. অয়েল প্যান ইত্যাদি।
৯. পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজেলে ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ ক. পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল ব্যবহার হয় কিন্ত ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।
খ. পেট্রোল ইঞ্জিনে স্পার্ক করে ইগইনশন করা হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কমপ্রেশন করে ইগনিশন করা হয়।
গ. পেট্রোল ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কার্বুরেটরের স্থলে ইনজেক্টর থাকে।
ঘ. পেট্রোল ইঞ্জিনে অটো সাইকেল কাজ করে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলে কাজ করে।
১০. কী কী লক্ষণ দেখা দিলে ইঞ্জিন ওভার হলিং করার প্রয়োজন হয় ইঞ্জিন?
উত্তরঃ ক. ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং লুবঅয়েল ( মবিল) বেশি খরচ হলে।
খ. ইঞ্জিন হতে অত্যধিক কালো ধোঁয়া বের হলে।
গ. বোঝা বহন করার ক্ষমতা কমে গেলে।
ঘ. ফাস্ট গিয়ারে উঁচু রাস্তায় উঠবার সময় ইঞ্জিন গাড়িকে টানতে না পারলে।
১১. ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেমের কাজ বা উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা হ্রাস করে ইঞ্জিনকে কার্যকরী তাপমাত্রায় রাখাই কুলিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য বা কাজ।
১২. রেডিযেটরের কাজ বা উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ রেডিয়েটরের কাজ পানি ঠান্ডা করা। রেডিয়েটর হতে ঠান্ডা পানি পাম্পের সাহায্যে ওয়াটার জ্যাকেটের মাধ্যমে ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে ঠান্ডা করে এবং গরম অবস্থায় পুনরায় রেডিয়েটরে ফিরে আসে। রেডিয়েটরে এই গরম পানি ঠান্ডা হয়ে পুনরায় ইঞ্জিনে ফিরে আসে।
১৩. কুলিং ফ্যানের কাজ কী?
উত্তরঃ রেডিয়েটরের ভেতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত করা এবং গরম পানিকে ঠান্ডা করা।
১৪. এয়ার কুলিং সিস্টেমকে ইঞ্জিন কিভাবে ঠান্ডা করে?
উত্তরঃ ইঞ্জিন সিলিন্ডার ও হেডের চতুর্দিকে বেশ কিছু পাতলা লোহার পাত থাকে। বাতাসের সংস্পর্শে এই পাতলা লোহর পাতসমূহ ঠান্ডা হয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে। যেমনঃ মোটর সাইকেল, অটোরিক্সা, ইত্যাদি গাড়িতে এয়ার কুলিং সিস্টেম দেখা যায়।
১৫. ওয়াটার কুলিং সিস্টেমে কী ধরনের পানি ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ ডিস্টিল্ড ওয়াটারের ন্যায় পরিষ্কার পানি, যেমন- পরিষ্কার পুকুর, নদী ওবৃষ্টির পানি ব্যবহার করা উচিত। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি ও লৌহ মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা উচিত নয়।
১৬. ফ্যানবেল্ট কোথায় থাকে?
উত্তরঃ ইঞ্জিনের পুলিং , ফ্যান পুলিং ও ডায়নামো পুলির ওপরে পরানো থাকে।
১৭. একটি ইঞ্জিন অত্যধিক গরম অবস্থায় চলছে তা কীভাবে বুঝা যায়?
উত্তরঃ (ক) ড্যাশবোর্ড টেম্পারেচার মিটারের কাটা লাল দাগে চলে যাবে।
(খ) ইঞ্জিনে খট খট শব্দ হবে।
(গ) পানি বেশি বাষ্পায়িত হয়ে ওভারফ্লো পাইপ দিয়ে বের হতে থাকবে।
(ঘ) ক্রমান্বয়ে ইঞ্জিনের শক্তি কমতে থাকবে।
১৮. ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে করণীয় কী এবং অবস্থায় গাড়ি চালালে কী অসুবিধা হবে?
উত্তরঃ প্রথমে ইঞ্জিন বন্ধকরে সুবিধামতো স্থানে গাড় পার্ক করতে হবে। এবং বনেট খুলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হতে দিতে হবে। তারপর ইঞ্জিন গরম হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করেসেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে যে কোনো মূহুর্তে পিষ্টন ও বেয়ারিং গলে ইঞ্জিন জ্যাম বা সিজড হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ইঞ্জিন পুনরায় ওভারহেলিং করতে হবে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
১৯. এয়াক্লিনারের কাজ কী?
উত্তরঃ বাতাসে যে সমস্ত ধূলিকণা থাকে তা পরিষ্কার করে বিশুদ্ধ বাতাস ইঞ্জিন সরবরাহ করে। পরিষ্কার বাতাস কার্বুরেটরের মধ্যে প্রবেশ না করলে ধূলিকণা পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত হয়ে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার, পিস্টন এবং পিস্টন রিংয়ের অতি দ্রুত ক্ষয় সাধন করে।
২০. কার্বুরেটরের অবস্থান কোথায় এবং এর কাজ কী?
উত্তরঃ কার্বুরেটরের অবস্থান ইঞ্জিনের ইনটেক ম্যান্ডিফোল্ডের ওপরে ও এয়ারক্লিনারের নিচে। ফুয়েল ও বাতাস নির্দিষ্ট অনুপাত মিশ্রিত করে ইঞ্জিনে সরবরাহ করাই এর কাজ্
২১.ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ কী?
উত্তরঃ প্রত্যেকটি স্পার্ক প্লাগে হাইভোল্টেজ কারেন্ট পৌঁছে দেওয়া ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ।
২২. কনডেনসারের কাজ কী?
উত্তরঃ ডিস্ট্রিবিউটরের কনট্যাক্টব্রেকার পয়েন্টকে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
২৩.স্পার্ক প্লাগ কোথায় থাকে?
উত্তরঃ পেট্রোল ইঞ্জিনের সিলিন্ডারহেডে
২৪. এয়ারলক ও ভেপারলক এর অর্থ কী?
উত্তরঃ ফুয়েল লাইনে বাতাস প্রবেশের কারণে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধে হয়ে যাওয়াকে এয়ারলক বলে। ফুয়েল লাইন অত্যধিক তাপের সংস্পর্শে আসলে লাইনের ভেতর ভেপার বা বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্পের চাপে লাইনের ভেতর ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হওয়াকেই ভেপারলক বলে।
২৫. কোন কোন ত্রুটির কারণে সাধারণত ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না?
উত্তরঃ(ক) জ্বালানি( পেট্রোল/ ডিজেল/ সিএনজি) না থাকলে (খ) ব্যাটারিতে চার্জ না থাকলে বা দুর্বল হলে, (গ) সেল্ফস্টার্টার ঠিকমতো কাজ না করলে, (ঘ) কার্বুরেটর ঠিকমতো কাজ না করলে (ঙ) ইগনিশন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করলে, (চ) ডিজেলইঞ্জিনের জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে।
২৬.কী কী কারণে ইঞ্জিন চালু অবস্থায় বন্ধ হতে পার?
উত্তরঃ জ্বালানি ( পেট্রোল/ ডিজেল/ সিএনজি) শেষ হয়ে গেলে বা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেল, (েখ) ডিজেল ইঞ্জিনের জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে (গ) স্পার্ক প্লাগে অতিরিক্ত তেল (মবিল) বা কার্বন জমা হলে, (ঘ) কার্বুরেটরে ফ্লাডিং হলে অর্থাৎ কার্বুরেটরে অতিরিক্ত জ্বালানি সরবরাহ হলে, (ঙ) এক্সিলারেটর প্রয়োজনমতো না চেপে ক্লাচ প্যাডেল ছেড়ে দিলে, (চ) অতিরিক্ত বোঝা বহন করলে।
২৭. ইগনিশন সিস্টেম ঠিক থাকা সত্ত্বেও একটি ঠান্ডা ইঞ্জিন স্টার্ট না হলে কী করতে হবে?
উত্তরঃ মিকচার আরো রিচ করতে হবে।
২৮. ইগনিশন সিস্টেম ঠিক থাকা সত্ত্বেও একটি ইঞ্জিন গরম অবস্থায় স্টার্ট না হলে কী করতে হবে?
উত্তরঃ মিকচার খুব বেশি রিচ হলে এমনটি হয়। ইগনিশনসুইচ অফ করে এবং থ্রটলভালভ সম্পূর্ণ খুলে ইঞ্জিনকে কয়েকবার ঘুরাতে হবে। তারপর থ্রটলভালভ বন্ধ করে ইগনিশনসুইচ অন করতে হবে।
২৯. ডিজেল ইঞ্জিনে গর্ভনরের কাজ কী?
উত্তরঃ গভর্নর ডিজেল ইঞ্জিনের ফুয়েল(ডিজেল) সরবরাহকে নিয়ন্ত্রণ করে ইঞ্জিনের স্পীড বা গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
১. কুলিং ফ্যানের কাজ কী
ক. রেডিয়েটরের পানিকে ঠান্ডা করা খ.ইঞ্জিন অয়েলকে ঠান্ডা করা
গ. ব্রেক অয়েলকে ঠান্ডা করা ঘ. ব্যাটারীকে ঠান্ডা করা
২. টেম্পারেচার মিটারে ইঞ্জিনের কী নিদের্শকে করে
ক. ইঞ্জিনের কার্যকরী ক্ষমতা খ. গিয়ার বক্সের কার্যকরী ক্ষমতা
গ.রেডিয়েটরের কার্যকরী ক্ষমতা ঘ. গাড়ির কার্যক্ষরী ক্ষমতা
৩.গাড়ি স্টার্ট না হওয়ার কারণ কী
ক. গাড়িতে ব্রেক ওয়েল না থাকলে খ. গিয়ার ওয়েল না থাকলে
গ. প্রয়োজনীয় জ্বালানী না থাকলে ঘ. ক্ল্যাস ওয়েল না থাকলে
৪. ব্রেক মাষ্টার সিলিন্ডারে ব্রেক ওয়েলস লেভেল কম থাকলে কী হতে পারে
ক. ব্রেক ফেল খ. ইঞ্জিন ওভারহিট
গ. কালো ধোয়া ঘ. বিকট আওয়াজ
৫. ক্লাচের কাজ কি
ক. গাড়ির গতি কম ও বেশী করা খ. গাড়িকে নিউটাল করা
গ. ইঞ্জিন এবং গিয়ার বক্সের সংযোগ করা ও বিচ্ছিন্ন করা ঘ. উপরের সবগুলি
৬. এয়ার ক্লিনারের কাজ-
ক. ইঞ্জিনকে ঠান্ডা করা খ. বাতাস ও পেট্রোল এর মিশ্রণ তৈরী
গ. বাতাস পরিষ্কার করা ঘ. ইঞ্জিন চালু করা
৭. ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণ –
ক. কুলিং ফ্যান কাজ না করা
খ. রেডিয়েটর পানি ও মবিল না থাকলে
গ. উপরের সবগুলি
৮. টায়ার অতিরিক্ত ক্ষয় হয় কেন
ক. চাকার এলাইনমেন্ট সঠিক না থাকলে খ. চাকার হাওয়া কম বা বেশি হলে
গ. অতিরিক্ত মালামাল বহন করিলে ঘ. উপরের সবগুলো
৯. মবিলের কাজ কি
ক. ইঞ্জিনের ঘূর্ণায়ামান যন্ত্রাংশকে পিচ্ছিল করা খ.ঘূর্ণমানন যন্ত্রাংশের ক্ষয়রোধ
গ. ইঞ্জিন আংশিক ঠান্ডা রাখা ঘ. উপরের সবগুলো
১০. পেট্রোল ইঞ্জিনে প্রতি সিলিন্ডারের জন্য স্পার্ক প্লাগ থাকে কয়টি
ক. ১ টি খ. ২টি
গ. ৩টি ঘ.৪ টি
১১. সাইলেন্সারের কাজ কি
ক. শব্দকে নিয়ন্ত্রণ করা খ. ধোঁয়া নির্গমন করা
গ. বায়ু দূষণমুক্ত করা ঘ. ইঞ্জিনের গরম বাতাস বের করা
১২. ইঞ্জিনের কুলিং সিস্টেমে কুলিং মিডিয়া হিসেবে সাধারণত কি ব্যবহৃত হয়
ক. তৈল খ. গ্যাস
গ. পানি ঘ. ডিজেল
১৩. গিয়ার স্লিপ করার কারণ কি
ক. গিয়ারের দাঁত ভাঙ্গা থাকিলে খ. ক্লাচ ঠিক মতো কাজ না করলে
গ. গিয়ার ভালো ভাব সংযোগ না হলে ঘ. উপরের সবগুলো
১৪. ফুয়েল লাইনে বাতাস প্রবেশের কারণে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে কি বলে
ক. এয়ার লক খ. ডেপার লক
গ. অটো লক ঘ. এন্টি লক
১৫. স্পার্ক প্লাগ কোথায় থাকে
ক. ডিজেল ইঞ্জিনের বুকে খ. পেট্রোল ইঞ্জিনের সিলিন্ডার হেডে
গ. কার্বুরেটরের ভেতর ঘ. ডিস্ট্রিবিউটরের মধ্যে
১৬. ফুয়েল ও বাতাসকে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত করে ইঞ্জিনের সরবরাহ করে
ক. এয়ার ক্লিনার খ. স্পার্ক প্লাগ
গ. কার্বুরেটর ঘ. মিক্সার
১৭. রেডিয়েটরের কাজ কি
ক. পানি ঠান্ডা করা খ. জয়েন্ট পাটর্স
গ. রেডিও চালনা ঘ. কোনটিই নয়
১. চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিন ওভারহিট হয়ে গেলে করণীয় কী
ক. গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে
খ. সুবিধামতো স্থানে গাড়ি পার্ক করে ইঞ্জিন ঠান্ডা হতে দিতে হবে
গ. গাড়ি ব্রেক করতে হবে
ঘ. আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে
২. ইঞ্জিনের ওয়েলের মেয়াদ শেষ হলে নতুন ওয়েল প্রবেশ করানোর সাথে আর কী পরিবর্তন অবশ্যই আবশ্যক
ক. এয়ার ফিল্টার খ. ইঞ্জিনের ওয়েল ফিল্টার
গ. গিয়ার ওয়েল ফিল্টার ঘ. ফুয়েল ফিল্টার
৩. ইঞ্জিনের মাইল কত কিঃমিঃ চালানোর পর বদল করা উচিত
ক. ২,৫০০ কিঃমিঃ খ. ৪০০০ কিঃমিঃ
গ. ৮০০০ কিঃমিঃ ঘ. প্রস্তুত কারক প্রদত্ত ম্যানুয়াল
৪. গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটিারিতে ইলেট্রোলাই এর লেভেল কমে গেলে কী ব্যবহার করতে হবে
ক. নির্ধারিত ফিউজ খ. মিনারেল ওয়াটর
গ. ডিস্টিল্ড ওয়াটার ঘ. সাগরের পানি
৫. হেড লাইট না জ্বললে প্রথমে কী চেক করতে হয়
ক. নির্ধারিত ফিউজ খ. নির্ধারিত লাইন
গ. ইঞ্জিন ওয়েল ঘ. সুইচ
৬. টায়ার বাষ্ট হলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য-
ক. তাৎক্ষণিকভাবে ব্রেক প্রয়োগ করুন
খ. এক্সিলেটর থেকে পা সরিয়ে নিয়ে গাড়ি থামা পর্যন্ত স্টিয়ারিং ধরে রাখা
গ. গিয়ার নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখুন
ঘ. গাড়ি এক পার্শ্বে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন
৭. লুব ওয়েল কোথায় দিতে হয়
ক. হেড কভারে খ. ব্যাক কভারে
গ. জয়েন্ট পার্টস ঘ. ফুয়েল গেজ
৮. ডিসটিল্ড ওয়াটার কোথায় ঢালতে হয়
ক. কার্বুরেটরে খ. রেডিয়েটারে
গ. ব্যাটারিতে ঘ. ইয়ার ক্লিনারে
৯. গাড়ির গিয়ার পরিবর্তনের সময় অবশ্যই
ক. ব্রেক পেডেল চাপ দিতে হবে খ. ক্লাচ পেডেল চাপ দিতে হবে
গ. এক্সিলেটর পেডেল চাপ দিতে হবে ঘ. গাড়ির গতি কমাতে হবে
১. বাধ্যতামূলক না বোধক চিহ্ন থাকে
ক. লাল বৃত্তে খ. নীল ত্রিভুজে
গ. চতুর্ভুজের মধ্যে ঘ. নীল বৃত্তে
২. রাস্তায় আলোক সংকেত যেভাবে আসে তা হলো
ক. হলুদ- সবুজ- লাল খ. লাল- হলুদ- সবুজ
গ. লাল- সবুজ- হলুদ ঘ. সবুজ- লাল- হলুদ
৩. লাল বৃত্ত বিশিষ্ট সড়ক সংকেতের ভেতর ৫০ কিঃমিঃ লেখা থাকিলে বুঝায়
ক. সর্বনিম্ন গতি সীমা ৫০ কিঃমিঃ খ. সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০ কিঃমিঃ
গ. রাস্তা ৫০ কিঃমিঃ লম্বা ঘ. রাস্তা ৫০ কিঃমিঃ দূরে বাকা
৪. রোড সাইন কোন তিনভাগে ভাগ করা যায়
ক. লাল- হলুদ- সবুজ
খ. রোড মার্কিং, সিগন্যাল এবং ট্রাফিক আইন
গ. সতর্কতামূলক, বাধ্যতামূলক, রোড মার্কিং
ঘ. সতর্কতামূলক, বাধ্যতামূলক এবং তথ্যমুলক
৫.অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং এ চালকে দায়িত্ব কি
ক. ধীর গতিতে গাড়ী চালাবে
খ. ট্রেন আসার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে
গ. প্রতিবন্ধক না থাকরে অগ্রসর হবে
ঘ. গাড়ি থামিয়ে ডানে বামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করবে
৬. রাস্তার মাঝখানে অখন্ডিত একটি সাদা দাগ থাকিলে কি করণীয়
ক. ওভার টেক করা যাবে খ. ওভারটেক করা যাবে না
গ. গাড়ির গতি কমাতে হবে ঘ. গাড়ির গতি বাড়াতে হবে
৭. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়?
ক. শুধু মাত্র সাইকেল চলাচলে জন্য খ. সাইকেল চলাচল নিষেধ
গ. মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ ঘ. শুধুমাত্র মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য
৮. ফোরহুইলড্রাইভ কোথায় প্রয়োগ করতে হয়?
ক. ভালো রাস্তায় খ. পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত রাস্তায়
গ. আঁকা বাকা রাস্তায় ঘ. নিচু রাস্তায়
৯. লেভেক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার?
ক. ৩ প্রকার খ. ৪ প্রকার
গ. ৫ প্রকার ঘ. ২ প্রকার
১০ . এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়?
ক. মোটরকার চলাচলের জন্য খ. মোটরযান চলাচলের জন্য
গ. মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ ঘ. পিকআপ চলাচলের জন্য
১১. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়?
ক. ওভারটেকিং নিষেধ
খ. ওভারটেকিং করা যাবে
গ. গাড়ি থামাতে হবে
১২. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়?
ক. পার্কিং নিষেধ
খ. পার্কিং করা যাবে
গ. পথচারী চলাচল নিষেধ
১৩. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. থামানো নিষেধ
খ. থামাতে হবে
গ. ওভারটেকিং নিষেধ
১৪. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. পথচারী চলাচল নিষেধ
খ. পথচারী চলাচল করা যাবে
গ. কোনটিই নয়
১৫. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. পথচারী পারাপার
খ. পথচারী চলাচল নিষেধ
গ. উভয়টি
১৬. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. সড়কে পথচারী
খ. পথচারী চলাচল নিষেধ
গ. শিশু কিশোর
১৭. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. শিশু কিশোর
খ. সামনে পশু চলাচল করে
গ. সামনে রাস্তা বন্ধ
১৮. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. প্রবেশ নিষেধ
খ. সব ধরনের গাড়ি চলাচল করবে
গ. ওভার টেকিং নিষেধ
১৯. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. অসমতল/ ত্রুটিপূর্ণ সড়ক
খ. সামনে সমতল সড়ক
গ. সামনে পিছিল সড়ক
২০. এই চিহ্নটি দ্বারা কি বুঝায়
ক. সামনে গতিরোধক
খ. গতি বাড়াতে হবে
গ. সামনে সমতল সড়ক
২১. মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ কত
ক. ৪০মাইল/ ঘন্টা খ. ৭০ মাইল/ ঘন্টা
গ. ৫০ মাইল/ ঘন্টা ঘ. ১১২ মাইল/ ঘন্টা
২২. গোল চক্করে গাড়ি চালানের নিয়ম-
ক. সুযোগ মতো বের হয়ে যান
খ. ডান দিক থেকে আগত গাড়িকে প্রধান্য দিন
গ. বাম দিকের গাড়িকে আরও যেতে দিন
ঘ. যে দিকে মোড় ঘুরাবেন সেদিকে সিগন্যাল দিন
২৩. নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন
ক. তথ্যমূলক সাইন খ. বাধ্যতামূলক
গ. সতর্কতামূলক ঘ. উপরের সবগুলি
২৪. ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার
ক. ৩ প্রকার খ. ৪ প্রকার
গ. ৫ প্রকার ঘ. ২ প্রকার
২৫. সবুজ আয়তক্ষেত্রে ট্রাফিক সাইন ফলক কোনটি
ক. রাস্তার দিক/ দূরুত্বের তথ্য প্রদান করে খ. সাধারণ তথ্য প্রদান করে
গ. বাধ্যতামূলক তথ্য প্রদান করে ঘ. সতর্কতামূলক তথ্য প্রদান করে
২৬. গাড়ি চালানো অবস্থায় ট্রাফিক সিগনালে হলুদ বাতি জ্বলতে দেখলে
ক. দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে খ. থামার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে
গ. গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করতে দিতে হবে ঘ. আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে
১. ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরন-
ক. পেশাদার খ. অপেশাদার
গ. পেশাদার এবং অপেশাদার ঘ. কোনটিই নয়
২.অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত
ক. ২৪ বছর খ. ২৫ বছর
গ. ২০ বছর ঘ. ১৮ বছর
৩. কোন জায়গায় অবশ্যই হর্ণ বাজাতে হবে
ক. গোল চক্করে খ. অন্ধ বাঁকে
গ. ইউ টার্নের নিকট ঘ. হাসপাতাল
৪. ঘন কুয়াশার মধ্যে রাস্তায় গাড়ি চালাইতে হেড লাইট জ্বালাইতে হয় কেন
ক. রাস্তা দেখিবার জন্য খ. গাড়ির অবস্থান বুঝিবার জন্য
গ. ডানে মোড় নিবার জন্য ঘ. ওভারেটক করার জন্য
৫. বাজার এলাকায় অতিক্রমের সময় গাড়ির গতিবেগ কত হওয়া উচিত
ক. ৫০ কিঃমিঃ/ ঘন্টা খ. ১৫ কিঃমিঃ/ ঘন্টা
গ. ৪৫ কিঃমিঃ/ ঘন্টা ঘ. ট্রাফিক সাইনে নির্দেশিত গতিসীমা
৬. মোটর গাড়ির কাগজপত্র সর্বদা কে চেক করতে পারেন
ক. ট্রাফিক পুলিশ, পুলিশ সার্জেন্ট, আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্য
খ. পুলিশ সার্জেন্ট, আনসার ও বিআরটিএ’র সদস্য
গ. পোষাক পরিহিত সর্বনিম্ন সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদর পুলিশ অফিসার , বিআরটি এর কর্মকর্তা, মোবাইল কোর্ট
ঘ. মোবাইল কোর্ট, ট্রাফিক পুলিশ, ও সেনাবাহিনীর সদস্য
৭. যেখানে ওভারটেকিং নিষেধ সেখানে ওভারটেকিং করলে কত টাকা জরিমান
ক. ১০০ টাকা পর্যন্ত খ. ২০০ টাকা পর্যন্ত
গ. ৩০০ টাকা পর্যন্ত ঘ. ৪০০ টাকা পর্যন্ত
৮.চলন্ত অবস্থায় গাড়ি থেকে অত্যাধিক ধোয়া নির্গত হলে কত টাকা জরিমানা
ক. ১০০ টাকা পর্যন্ত খ. ২০০ টাকা পর্যন্ত
গ. ৩০০ টাকা পর্যন্ত ঘ. ৪০০ টাকা পর্যন্ত
৯. নিষিদ্ধ হর্ণ কিংবা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র লাগালে ও ব্যবহার করলে কত টাকা জরিমানা
ক. ১০০ টাকা পর্যন্ত খ. ২০০ টাকা পর্যন্ত
গ. ৩০০ টাকা পর্যন্ত ঘ. ৪০০ টাকা পর্যন্ত
১০. অননুমোদিত ওজন অতিক্রম পূর্বক গাড়ি চালানা করলে কত টাকা জরিমানা
ক. ৫০০ টাকা খ. ১০০০ টাকা
গ. ২০০০ টাকা ঘ. ৩০০০ টাকা
১১. প্রকাশ্য সড়কে বা প্রকাশ্য স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে কত টাকা জরিমান
ক. ৫০০ টাকা খ. ১০০০ টাকা
গ. ২০০০ টাকা ঘ. ৩০০০ টাকা
১২.ইনসুরেন্সবিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোর শাস্তি কি
ক. ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা খ. ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
গ. ৫০০ টাকা পযন্ত জরিমানা ঘ. ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
১৩. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত
ক. ২৪ বছর খ. ২৫ বছর
গ. ২০ বছর ঘ. ১৮ বছর
১৪. শুকনা রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার বেগে চললে ব্রেক করলে থামার দূরত্ব
ক. ২৫ মিটার খ. ৩৫ মিটার
গ. ৫০ মিটার ঘ. ২৫ গজ
১৫. একজন চালক বিরতিহীনভাবে কত ঘন্টা গাড়ি চালাতে পারে
ক. ০৫ ঘন্টা খ. ১০ ঘন্টা
গ. ১২ ঘন্টা ঘ. ৭ ঘন্টা
১৬. গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলে সর্বপ্রথম দায়িত্ব কি
ক. নিকটস্থ থানায় খবর দেওয়া
খ. দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি নিরাপদ স্থানে সরিযে নেওয়া
গ. পালিয়ে যাওয়া
ঘ. আহত ব্যক্তিদের চিকৎসার ব্যবস্থা করা
১৭. রাস্তায় গাড়ি চালাইবার সময় সাইড মিরর প্রতি মিনিটে কত বের দেখা উচিত
ক. ৮ বার খ. ৬ বার
গ. ১০ বার ঘ. ৩ বার
১৮. মোটরযান আইনে ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত গাড়ি চালানো শাস্তি কি
ক. ২০০ টাকা জরিমানা খ. ৪০০ টাকা জরিমানা
গ. ৩৫০ টাকা জরিমানা ঘ. ৫০০ টাকা জরিমানা
১৯.রাত্রিকালীন বিপরীত দিক তেকে আগত গাড়ির মুখোমুখি হলে নিজ গাড়ির হেড লাইটের আলো কি করা উচিত
ক. ডিম করা উচিত খ. হাই করা উচিত
গ. বন্ধ করা উচিত ঘ. কোনটিই নয়
২০. প্রধান রাস্তায় প্রবেশের সতর্কতা হল
ক. প্রধান রাস্তার গাড়িকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা
খ. ইন্ডিকেটর দিয়ে হর্ণ বাজিয়ে নিজেই অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা
গ. ইন্ডিকেটর দিয়ে গাড়ির গতি কমিয়ে প্রধান রাস্তার গাড়িকে অগ্রাধিকার প্রদান করা
ঘ. যে কোন দিক দিয়ে হর্ণ বাজিয়ে প্রবেশ করা যেতে পারে
২১. অপেশাদার ও পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত
ক. ২৪ ও ২৬ বছর খ. ২৫ ও ২৭ বছর
গ. ২০ ও ২২ বছর ঘ. ১৮ ও ২০ বছর
১. মোটরযান আইনে বীমার প্রয়োজনীয়তা কিসের জন্য
ক. প্রথম পক্ষের ঝুঁকির জন্য খ. তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকির জন্য
গ. স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঝুঁকির জন্য ঘ. দ্বিতীয় পক্ষের ঝুঁকির জন্য
২. মোটরযান বীমা কোথায় করতে হয়
ক. বিআরটিএ অফিসে খ. সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে
গ. গাড়ির শো-রুমে ঘ. সাধারণ বীমা কোম্পানীতে
৩.মোটরযানের বীমা কোন ধরনের বীমার আওতাভুক্ত
ক. সাধারণ বীমা খ. জীবন বীমা
গ. মেয়াদী হিসাব বীমা ঘ. তিন কিস্তি বীমা
৪. মোটর যানের বীমার প্রয়োজনীয়তা মোটরযানের অধ্যাদেশ কোন ধারায় বর্ণিত আছে
ক. ১০৮ ধারায় খ. ১০৯ ধারায়
গ. ১০৫ ধারায় ঘ. ১০২ ধারায়
৫.অবীমাকৃত মোটরযান চালনা করলে সর্বোচ্চ কত টাকা জরিমানা হতে পারে
ক. ২০০ টাকা পর্যন্ত খ. ২০০০ টাকা পর্যন্ত
গ.৩০০ টাকা পর্যন্ত ঘ. ৪০০ টাকা পর্যন্ত
৬.অবীমাকৃত গাড়িচালনার শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে মোটরযান অধ্যাদেশ এর কত ধারায়
ক. ১০০ ধারায় খ. ১০১ ধারায়
গ. ১০৫ ধারায় ঘ. ১৫৫ ধারায়
৭.দুর্ঘটনা ঘটার কত সময়ের মধ্যে বীমা কোম্পানীর নিকট ক্ষতিপূরণ আবেদন করতে হবে
ক. ৬ মাসের সময়ের মধ্যে খ. ৩ মাস সময়ের মধ্যে
গ. ২ মাস সময়ের মধ্যে ঘ. ১ মাস সময়ের মধ্যে
৮. বীমাকৃত গাড়ির ফিটনেস/ টোকেন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এমতবস্থায় দুর্ঘটনায় পতিত হলে বীমাকৃত ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পাবে কিনা
ক. হ্যা পাবে যদি বীমার মেয়াদ থাকে খ. পাবে না
৯.কম্প্রিহেনসিভ বীমার ক্ষেত্রে কে ক্ষতিপূরণ পাবে
ক. গাড়ি( গাড়ি ক্ষতি পূরণ) খ. পথচারী
গ. ড্রাইভার ঘ. গাড়ি ও তৃতীয় পক্ষ উভয়ই
১০. তৃতীয়পক্ষ বীমার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না
ক. গাড়ির খ. পথচারী
গ. ড্রাইভার ঘ. গাড়ি ও তৃতীয়পক্ষ উভয়ই
১১. মোটরযান আইনে কোন প্রকারের বীমা বাধ্যতামূলক
ক. প্রথমপক্ষ
খ. কম্প্রিহেনসসিভ
গ. তৃতীয়পক্ষ
১২. তৃতীয়পক্ষের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত হবে কে
ক. সরকার
খ. গাড়ির মালিক
গ. গাড়ি বিক্রেতা
১৩.ক্ষতিপূরণের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন
ক. যিনি নিজে আহত হয়েছেন বা যার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তিনি
খ. দুর্ঘটনার ফলে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার আইনানুগ উত্তরাধিকারী
গ. উভয়ই প্রযোজ্য
১. ফাস্ট এইড কি
ক. দ্রুত চিকিৎসা খ. দুর্ঘটনা চিকিৎসা
গ. হাড় জোড়া চিকিৎসা ঘ. প্রাথমিক চিকিৎসা
২. ফাস্ট এইড বাক্সে সাধারণত কি কি থাকে
ক. অক্সিজেন, সিলিন্ডার
খ. সামান্য কিছু ঔষুধ,এন্টিসেপটিক, তুলা, ব্যান্ডেজ
গ. স্ট্রেচার
ঘ. অপারেশন ইকুপমেন্ট
View all
You must be logged in to post a comment.